Skip to main content

দেশের বাইরে ৩৬৬ দিন

2 min read

দেশ ছাড়ার ১ বছর হলো। ১ বছর আগে এই দিনে জীবনে প্রথমবারের মত প্লেনে উঠে ২ ঘন্টায় ১৫০০ কিলো পাড়ি দিয়ে শুরু করেছিলাম জীবনের নতুন অধ্যায়!

প্রথমবার এয়ার ট্রাভেলের আগে তারেক ভাই আর আশিফ ভাইকে জ্বালিয়ে মেরেছিলাম। প্রচন্ড নার্ভাস ছিলাম প্রথমবারের মত এয়ারপোর্ট/ইমিগ্রেশন ফেস করা নিয়ে!

ফানফ্যাক্ট, এর আগে প্রায় আড়াই বছর এয়ারলাইনের টিকেট সেল করার সফটওয়্যার বানালেও কখনো এয়ারট্রাভেল করা হয়নি!

এরপর গত একবছরে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মী দুইটা কালচার, আবহাওয়া এক্সপেরিয়েন্স করার সুযোগ হয়েছে। সাথে অসম্ভব ট্যালেন্ডেড কিছু লোকজনের সাথে কাজ করার সুযোগও হয়েছে! কিছু মানুষের সাথে আত্মার সম্পর্কও গড়ে উঠেছে এই স্বল্প সময়ে!

গত বছরটা মোটামুটি একাই কেটেছে। মিস করার মধ্যে ফ্যামিলিকে ভালোই মিস করি। আর বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডাটা মিস করা হয় মাঝে মাঝে। এজন্য হয়তো দেখা যায় কেউ কল দিলে এক-দেড় ঘন্টা এমনেই পার হয়ে যায়!

অনেস্টলি বলতে গেলে আমি আর তেমন কিছু মিস করি না, স্পেশালী বস্তু সামগ্রী কিছু। ইভেন বিরিয়ানিও না! আমার একটা বড় টার্গেটই ছিলো যেখানেই থাকবো, সেখানকার লোকাল খাবারে অভ্যস্ত হবো।

আমি এমনিতেও একটু অদ্ভুত টাইপের প্রাণী। ঢাকার বাইরে সেকেন্ড হায়েস্ট সময় থাকা হয়েছে আমার টাঙাইলে। আমার হাইস্কুল জীবন কেটেছে, জীবনে যতটুকু একাডেমিক পড়াশোনা করেছিলাম সিরিয়াসলি সেটা ওখানেই ছিলো, জন্মও সেখানে। সেখান থেকে ফ্যামিলিকে ঢাকায় শিফট করানোর ৫-৬ মাস পর যখন আবার টাঙাইল গেলাম, তখন সবকিছু অপরিচিতই লাগতেছিলো। আমার সেভাবে কোন রুট নাই। তরল পদার্থ টাইপ জিনিস! বস্তু, জায়গা কোনকিছুই মিস করি না। মিস যা করি সেগুলা সব মানুষ!

দেখাযাক, নসীবে কি আছে সামনে, আর কি কি অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ হয়! সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।