বাংলাদেশী হিসাবে আমাদের প্রাপ্তবয়স্কদের বেশিরভাগেরই জাতীয় পরিচয় পত্র আছে। অনেকে এটাকে ভোটার আইডি কার্ড বলেন যেটা সম্পুর্ণ ভুল। এটা বাংলাদেশের National ID Card বা জাতীয় পরিচয় পত্র। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এটাই আমাদের নাগরিকত্বের ইমিডিয়েট প্রমাণপত্র।
আপনারা দেখবেন এটার নীচেরদিকে লাল কালি দিয়ে লেখা ১৩ বা ১৭ সংখ্যার একটা নম্বর আছে যাকে আমরা আইডি নম্বর হিসাবে জানি। এই নাম্বারটা প্রতিটি নাগরিকের জন্য একক বা ইউনিক। কারও সাথে কারও নাম্বার মিলবে না। কিন্তু এই ১৩ বা ১৭ সংখ্যার মানে জানেন? ঠিকআছে আসুন এখন আমরা এই নাম্বারকে বিশ্লেষণ করব।
- প্রথম ২ সংখ্যাঃ জেলা কোড। ৬৪ জেলার আলাদা আলাদা কোড আছে। যেমন ঢাকার জন্য এই কোড ২৬।
-
পরবর্তী ১ সংখ্যাঃ এটা আর এম ও (RMO) কোড। এই কোডটা এরকমঃ
- সিটি কর্পোরেশনের জন্য - ৯
- ক্যান্টনমেন্ট - ৫
- পৌরসভা - ২
- পল্লী এলাকা - ১
- পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা - ৩
- অন্যান্য - ৪
- পরবর্তী ২ সংখ্যাঃ এটা উপজেলা বা থানা কোড।
<li>পরবর্তী ২ সংখ্যাঃ এটা ইউনিয়ন (পল্লীর জন্য) বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য)।</li>
<li>শেষ ৬ সংখ্যাঃ আই ডি কার্ড করার সময় আপনি যে ফর্ম পূরণ করেছিলেন এটা সেই ফর্ম নম্বর।</li>
<li>১৭ ডিজিট ওয়ালা আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে যার প্রথম ৪ ডিজিট হচ্ছে জন্মসাল। (নতুন কার্ডগুলোয় সাধারণত ১৭ ডিজিট থাকে)</li>
পোস্টটি কেমন লাগলো মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এটি একটি কপিপেস্ট পরিবেশনা!
What's on your mind?
3 Comments